টাইব্রেকারে পেরুকে হারিয়ে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া

গোলরক্ষক অ্যান্ড্রু রেডমায়েনকে টাইব্রেকারের ঠিক আগ মুহূর্তে মাঠে নামালেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড। শুরুর একাদশে থেকে ১২০ মিনিট গোলপোস্ট সামলানো ম্যাট রায়ানের বদলি হিসেবে রেডমায়েন নেমেই করলেন বাজিমান। পেরুর ফরোয়ার্ড অ্যালেক্স ভ্যালেরা শট নেয়ার আগে সবাইকে অবাক করে দিয়ে নাচলেন। শট প্রতিহত করে পরে অস্ট্রেলিয়াকেই বিশ্বকাপে তোলার জয়ের আনন্দে নাচালেন।

সোমবার রাতে কাতারের আহমাদ বান আলি স্টেডিয়ামে হওয়া প্লে-অফ ম্যাচে পেরুকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট কাটল অজিরা। নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্যভাবে অমীমাংসিত ছিল।

বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে পড়া অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়াকে পাচ্ছে।

ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে প্রথম শটটাই বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন পেরুর গোলরক্ষক পেড্রো গ্যালিস। পরের চার শটে অবশ্য অজিরা বল জালে জড়াতে সক্ষম হয়।

পেরুর হয়ে নেয়া তৃতীয় শটে গোল করতে ব্যর্থ হন লুইস অ্যাডভিনকুলা। তার নেয়া ডান পায়ের শট বাঁ পাশের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দুই দলের নেয়া প্রথম পাঁচ শটের পর স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪।

সাডেন ডেথ টাইব্রেকারে অস্ট্রেলিয়ার আওয়ের মাবিল লক্ষ্যভেদ করার পর অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেন রেডমায়েন। ৩৩ বর্ষী গোলরক্ষক পোস্টে দাঁড়িয়ে দুই হাত তুলে কোমর দুলিয়ে নেচে নেন। এরপর অ্যালেক্স ভ্যালেরার শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর সঙ্গে সঙ্গে ৩১তম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়।

এই নিয়ে টানা পাঁচবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৭৪ সালে প্রথমবার ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে খেলার সুযোগ পাওয়া দলটিকে পরে ৩২ বছর অপেক্ষা করতে হয়। ২০০৬ সালে হয়েছিল সেই অপেক্ষার অবসান। সূত্রঃ চ্যানেল আই। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ০৬১৪\০৩ 


Related Articles