কানাডায় ভ্যাকসিন না নেওয়া কর্মীদের ছুটিতে পাটাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান

অন্টারিওর লং-টার্ম কেয়ার হোমের কর্মীদের ভ্যাকসিন নেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরপরও কেউ ভ্যাকসিন না নিলে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ হারাবেন তিনি। এরপর কি হবে সেটা নির্ধারণের দায়িত্ব হোমগুলোর। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই ভ্যাকসিন না নেওয়া কর্মীদের ছুটিতে পাঠিয়ে দিতে শুরু করেছে। কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ পরিণাম ও অতিমাত্রায় সংক্রাম ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকির কথা বলে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।

এদিকে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণে অন্টারিওর হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোর বিপুল সংখ্যক কর্মী সামনের সপ্তাহগুলোতে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এর ফলে প্রদেশের স্বাস্থ্য খাতে চলমান জনবল সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কম বেতন, পূর্ণকালীন কাজের অভাব ও খারাপ কর্মপরিবেশের কারণে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন লং-টার্ম কেয়ার হোম, হাসপাতাল ও রিটায়ারমেন্ট হোমের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট। তার দাবি, মহামারি ও বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনেশন নীতি সংকট আরও বাড়িয়েছে।

এসইআইইউ হেলথকেয়ারের শার্লিন স্টুয়ার্ট বলেন, এমনিতেই জনবল সংকটে আছে স্বাস্থ্য সেবা খাত। এটা নতুন সংকট তৈরি করবে।

অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর বলেন, ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার ফলে কর্মী সংকটের অনাকাক্সিক্ষত যে পরিণতি সেদিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে অন্টারিও। তবে সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষায় কিছু চাকরিতে যে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করা দরকার সেটাও ঠিক।

লং-টার্ম কেয়ার হোম বিষয়ক মন্ত্রীর একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, দরকার হলে যাতে সহায়তা করা যায় সেজন্য কেয়ার হোমগুলোর সঙ্গে কাজ করছে সরকার।

কুইবেক সব স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করলেও অন্টারিও সে পথে হাটেনি। তবে প্রদেশের অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই তাদের নিজস্ব নীতি তৈরি করেছে। ভ্যাকসিনেশনের পক্ষে প্রমাণপত্র না দেখাতে পারলে ছুটিতে পাঠানো বা চাকরিচ্যুতির যে সময়সীমা তা ঘনিয়ে এসেছে। সূত্রঃ বেঙ্গলি টাইমস। সম্পাদনা ম\হ। না ১০১৭\১২

Related Articles