নতুন ইসি গঠনে আইন করার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নতুন করে আইন প্রণয়নের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

বুধবার সকালে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি। এই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই।’

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), তরিকত ফেডারেশন সংলাপে গিয়ে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাবনা দিয়েছেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই এই আইন উত্থাপন করে জরুরি ভিত্তিতে তা পাস করা যেতে পারে।  নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধান বর্ণিত বিধি পরিপূরণে আপনি (রাষ্ট্রপতি) সরকারকে এই নির্দেশ দিতে পারেন। 

‘অন্যথায় প্রতিবারের মত এবারও নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক জন্ম দেবে এবং এ ধরনের আস্থাহীনতার পরিবেশে নির্বাচন কমিশন যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারবে না’-বলে উল্লেখ করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

সংলাপে গিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সরকার যদি মনে করে এখন আইন করা সম্ভব নয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে সেটি আইনে পরিণত করা যাবে। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংলাপ করছেন। তারা ইসি গঠনে আইন প্রণয়ণের যে দাবি জানিয়েছেন, আমিও তার সাথে একমত। কিন্তু আমি বলব, এখন নতুন করে আর আইন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া সংসদকে পাশ কাটিয়ে নতুন করে অধ্যাদেশ জারিও সম্ভব নয়।’

দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষ শর্তে অস্থায়ীভাবে মুক্ত থাকা অবস্থায় বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ‘আইনি সুযোগ নেই’ বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। 

এ বিষয়ে ক্র্যাবের অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যেতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। তাকে আবার বিদেশে নিয়ে যেতে হলে নতুন করে আবেদন করতে হবে।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ‘সুচিকিৎসার’ সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

অনুষ্ঠানে  জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম ও ক্র্যাবের সভাপতি মিজান মালিক বক্তব্য দেন। সূত্রঃ সমকাল। সম্পাদনা ম\হ। না ১২২৯\০১

Related Articles