আবারো মুক্তি পাচ্ছে টাইটানিক
- by Sanjana Bhuiyan
- June 25, 2022
- 127 views
টাইটানিক, যাকে বলা হয়েছিল ‘দ্য শিপ অব ড্রিমস’, অর্থাৎ স্বপ্নের জাহাজ। ১৯১২ সালে বিশালাকার এক বরফখণ্ডের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ হাজার ২২৩ জন যাত্রীসহ ডুবে যায় তৎকালীন সাড়া জাগানো জাহাজ টাইটানিক। এ দুর্ঘটনায় বেঁচে ছিল মাত্র ৬০৬ জন। প্রথম যাত্রায় ডুবে যাওয়া এ জাহাজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল 'টাইটানিক' ছবি।
তবে ১৯৯৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর সিনেমা হলে যে 'টাইটানিক' বিশ্বব্যাপী ডুবেছে সেখানে সবার চোখ ভিজেছে একটি প্রেম ডোবার কারণে! হলিউডের অন্যতম ব্যবসাসফল এই ছবিটির প্রধান দুই চরিত্র জ্যাক ও রোজ। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট। এখনো দর্শকের মনে শিহরন জাগায় এ সিনেমার দৃশ্যপট।
এদিকে আবার রোজ-জ্যাকের প্রেমের গল্প ফিরে আসছে বড় পর্দায়। জেমস ক্যামেরনের সিনেমা 'টাইটানিক'-এর রিমাস্টার সংস্করণ আগামী বছরের ভ্যালেন্টাইন ডে-তে মুক্তি পাবে। রিমাস্টার সংস্করণের অর্থ হলো, সিনেমার শব্দ এবং ছবির গুণমান আগের তুলনায় অনেক ভালো ও উন্নত। যারা এই ছবিটি আগে প্রেক্ষাগৃহে দেখেননি, তাদের জন্য এবার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
ফিল্মটির রিমাস্টার করা সংস্করণটি প্রেক্ষাগৃহে 3D, 4K, HDR এবং হাই-ফ্রেম-রেটে দেখানো হবে, যা ডিজনি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ বিশ্বব্যাপী মুক্তি দিতে চলেছে। এতে প্যারামাউন্ট পিকচার্স-এর ডোমেস্টিক রাইটস আছে। ১৯৯৭ সালে পরিচালক জেমস ক্যামেরন টাইটানিক চলচ্চিত্রটি তৈরি করেন। টাইটানিক চলচ্চিত্রটির ঝুলিতে ১১টি অস্কার পুরস্কারের রেকর্ড রয়েছে। সে সময় টাইটানিক বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস ক্যামেরনের আরেকটি ছবি 'অ্যাভাটার' টাইটানিকের রেকর্ড ভেঙে দেয়। তবে আজও এই ছবিটি বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্রের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে।
টাইটানিক তৈরি করতে সে সময় প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। ২০১২ সালে, টাইটানিক সিনেমাটি 3D ইফেক্টের সঙ্গে পুনরায় মুক্তি পায়। টাইটানিকের গল্প প্রতিবছরের খবরেই থাকে। ছবিটির সমাপ্তিতে যেখানে জ্যাক নিজের জীবন দিয়ে রোজকে বাঁচায় আর রোজও তার বাকি জীবন জ্যাকের স্মৃতিতেই কাটিয়ে দেয়। কিন্তু সিনেমাটি সত্য ঘটনার ওপর নির্মিত হলেও সিনেমার এই অংশটি ছিল সম্পূর্ণ কাল্পনিক। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট অভিনীত টাইটানিক চলচ্চিত্রটি এতবার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছিল যে, এর রিলটি অত্যন্ত জীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাই প্যারামাউন্ট পিকচার্সকে আবার রিল পাঠাতে হয়েছিল। শুরুতে সিনেমাটি মুক্তির আগে নাম ঠিক করা হয়েছিল 'প্ল্যানেট আইস', যা পরে পরিবর্তিত করে টাইটানিক রাখা হয়েছিল।সূত্র: স্ক্রিন ক্রাশ। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ০৬২৫\১০