আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ড. বদিউল

ছবি: সংগৃহীত

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছে, এবং এখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হলে সেটি অগ্রহণযোগ্য হবে না।"

তিনি অভিযোগ করেন যে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে এবং গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা সকলেই অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন দলীয়করণ করে সংবিধানের লঙ্ঘন করেছে এবং আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতিত্ব করেছে। তাই, নির্বাচনী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে 'গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন' শীর্ষক ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. মজুমদার বলেন, "বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক নয়, বরং রুটিন সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৫-১৬ বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেগ পেতে হচ্ছে। যদি জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমতে পারে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হামলার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী, যা নির্বাচন ব্যবস্থার সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হয়েছে।"

সভাপতির বক্তব্যে কিরণ বলেন, "দেশের মানুষ ভুলে যায়নি কিভাবে দিনের ভোট রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মৃত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছে, বিদেশে অবস্থানরতরা ভোট দিয়েছিল, এবং কোথাও শতভাগ ভোট পড়েছে। সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল, এবং ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ দেখানো হয়েছিল।"

তিনি আরও যোগ করেন, "নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা বিঘ্নিত হতে পারে। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের সুফল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারসহ রাষ্ট্র সংস্কারে যথাযথ সময় দেওয়ার প্রয়োজন।" সূত্র: যুগান্তর /স/হ/ন ১৪/০৯/২০২৪ 

 

 

 

4o mini

Related Articles