খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

শরীরের ভালো কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ফলে। খেজুরের পুষ্টিগুণ নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই উপকারী। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নানা উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

মস্তিষ্ক সতেজ রাখে   

মস্তিষ্ক ভালো রেখে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে    

খেজুরের মধ্যে পটাসিয়াম থাকে। তাই এটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। খেজুর স্ট্রোক, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগ থেকেও রক্ষা করে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন খেতে পারেন।

দূরে থাকবে কোষ্ঠকাঠিন্য

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।

দূর হবে হাঁটুর ব্যথা 

প্রতিদিন খেজুর খেলে হাঁটুর ব্যথার সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান খেজুরে পাওয়া যায়, যা হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে।

চোখের সমস্যা দূর করে

ভিটামিন ‘এ’ চোখের কর্নিয়াকে সতেজ করে। আর খেজুর ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে চোখের সমস্যায় অনেক উপকার পাওয়া যায়। খেজুরে লুটেনিন ও জেক্সানথিনও রয়েছে, যেগুলো চোখকে সুরক্ষিত রাখহেত সহায়তা করে।

পুষ্টির ঘাটতি পূরণ

খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। এছাড়া এতে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রচুর ভিটামিন থাকে। এটি শরীরে ভিটামিন এবং খনিজগুলোর ঘাটতি দূর করে। তাই যাদের দেহে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে, তারা খেজুর খান।

হাড় মজবুত হবে

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ থাকে। হাড় আরও মজবুত করতে চাইলে প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। খেজুর খেলে হাড় ভালো থাকবে। এমন কি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকিও কমবে।

ত্বক টান টান হয়

নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকের শিথিলতা দূর হয়। ত্বক ভেতর থেকে সতেজ এবং সজীব হয়ে ওঠে।

গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য উপকারী

খেজুরে উপস্থিত আয়রন নারীদের রক্তে ভরপুর করে। তাই খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য বেশ উপকারী। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া এটি শিশুর জন্মগত রোগও নিরাময় করে। সূত্র: সমকাল/ স/হ/ন 01/11/2024 

Related Articles