করোনার নতুন আতঙ্ক ‘ওমিক্রন’

দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের নাম রাখা হয়েছে 'ওমিক্রন'। নতুন এ ধরনকে 'উদ্বেগজনক' বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

'ওমিক্রন'কে এখন পর্যন্ত পাওয়া করোনার ভয়াবহ ধরনগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ধরা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে করোনার এ ধরনের নাম রাখা হয়েছিল বি.১.১.৫২৯।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলছে, নতুন শনাক্ত হওয়া ধরনটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। এর সংক্রমণের ক্ষমতা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক জটিলতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি-না তা এই সময়ের মধ্যে খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি করোনার প্রচলিত চিকিৎসা ও টিকার ওপর কোনো প্রভাব আসবে কি-না সেটাও জানার চেষ্টা করা হবে।

এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বসতোয়ানা, ইসরায়েল ও হংকংয়ে করোনার নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। বেলজিয়ামেও একজনের শরীরে 'ওমিক্রন'-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

এদিকে 'ওমিক্রন' শনাক্তের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নতুন করে ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি দেশের ওপর ফ্লাইট চলাচলে জরুরিভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা এনেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলো। একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যও।

সম্প্রতি এক গবেষণা শেষে করোনাভাইরাসে নতুন এই ধরন শনাক্ত করার কথা জানান দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, ভাইরাসের নতুন ধরনটির বিস্তৃতি ঘটলে দেশটিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা দিতে পারে। তাদের আশঙ্কা, খুব দ্রুত ধরনটি বিশ্বজুড়েও ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

গত বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বায়ো-ইনফরমেটিক্সের অধ্যাপক তুলিও ডি অলিভেরা বলেন, নতুন ধরনটির স্পাইক প্রোটিনে অস্বাভাবিক মাত্রায় মিউটেশন হচ্ছে, যা একে অন্য ধরনগুলোর চেয়ে আলাদা করে তুলেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফালা ওই ব্রিফিংয়ে বলেন, 'নতুন এ ধরনের মিউটেশন আমাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা আশা করেছিলাম, এ বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত করোনার নতুন ঢেউ আমরা ঠেকিয়ে রাখতে পারব। কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন কথা বলছে।' সূত্রঃ বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসি। সম্পাদনা ম\হ। না ১১২৭\০৬

Related Articles