টরন্টোতে ভ্যাকসিনেশনের বাধা দূর করার পরিকল্পনা

টরন্টোতে ৮৬ শতাংশের বেশি নাগরিক অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৮২ শতাংশের বেশি। নগরীর লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার যোগ্য ৯০ শতাংশ মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব এর আওতায় নিয়ে আসা।

নির্ধারিত সময়ে দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া ৫০ হাজার নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ শিগগিরই শুরু করতে যাচ্ছে টরন্টো। আংশিক ও পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড নাগরিকের মধ্যকার ব্যবধান কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এটা করতে যাচ্ছে তারা।

টরন্টোতে বর্তমানে এক ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহীতা আছেন ১ লাখ ২৩ হাজার। তাদের মধ্যে ৪৮ হাজার ২০০ জনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে।

ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে নতুন কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত মঙ্গলবার প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা। সেখানে বলা হয়েছে, ফোন বা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে আংশিক ভ্যাকসিনেটেড ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ শিগগিরই শুরু করা হবে। ভ্যাকসিনেশনের বাধাগুলো দূর করাই এর উদ্দেশ্য।

বোর্ড অব হেলথের চেয়ার জো ক্রেসি সাংবাদিকদের বলেন, এটা হবে সরাসরি যোগাযোগ ও কথোপকথনের ভিত্তিতে। সেখানে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও দ্বিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। আমার কাছে অনেকটা আপনার ডেন্টিস্ট বা চিকিৎসকের কাছ থেকে নেওয়া পরবর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্ট সম্পর্কে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো।

এক্ষেত্রে আমরা কেবল দ্বিতীয় ডোজের বিষয়ে মনে করিয়ে দেওয়ার কাজটাই করবো না, ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সামনে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে তাও চিহ্নিত করবো। যেমন, ক্লিনিকে যেতে আপনার কোনো রাইড দরকার কিনা? ভ্যাকসিন নিতে গেলে আপনার চাইল্ডকেয়ারের প্রয়োজন আছে কিনা? আপনার প্রশ্নগুলো বা উদ্বেগ নিরসনে জনস্বাস্থ্য নার্সের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন থাকলে তাও শোনা হবে।

নগরীর যেসব নেবারহুডে ভ্যাকসিনেশনের হার কম সেখানে হার বাড়াতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে টরন্টো জনস্বাস্থ্য বিভাগ। এর অংশ হিসেবে টিটিসি স্টেশন, শপিং প্লাজা ও গ্রোসারি স্টোরে শত শত পপ আপ ক্লিনিক পরিচালনা করছে। দ্বিতীয় ডোজের প্রতি মনোযোগ সত্ত্বেও এই কাজগুলোও অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন টরন্টোর মেয়র জন টরি। সূত্রঃ বেঙ্গলি টাইমস। সম্পাদনা ম\হ। না ১০১৭\০৮

Related Articles