কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম শুধু বাড়ছেই

অস্থিতিশীল কাঁচাবাজার। কাঁচাবাজারে অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ছে প্রতিটি পণ্যের। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শীতের কিছু আগাম সবজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে।

প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী মুরগি ও মাছের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ ও ৩৩০ টাকায়। এ ছাড়া ছোট মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রা।  

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজার সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে কোনো সবজির ঘাটটি নেই।

তবুও স্বস্তি নেই কোনো সবজির কেনাকাটায়। এ বাজারে শীতের আগাম সবজি হিসেবে শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা ও ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় টমেটো ১৫০ টাকা কেজি এবং চায়না গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এ ছাড়া বাজারে ৬০ টাকার নিচে নেই পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, করলার মতো মৌসুম শেষের সবজিও। ক্রেতারা বলছেন, নাভিশ্বাস অবস্থা তাদের সংসার চালাতে। হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায়। বাজারে কোন পণ্যের দামই কম বলার উপায় নেই কাঁচাবাজারে। প্রতিদিনই সব নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার (২২ অক্টোবর) তা ২০ টাকা বেড়ে নেওয়া হচ্ছে ১৮০ টাকা।

দেশি মুরগির দাম আগের মতো থাকলেও কেজিতে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, করোনার পরে চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে। বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ কমেছে বলেও জানান তারা।

বাজারে বড় আকারের মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে মলা, ঢেলা, পাবদা, কই, মাগুর, শিংসহ অন্যান্য ছোট মাছের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারন মানুষ। ক্রেতারা বলছেন, স্বল্প আয়ের পরিবারে একটু হিসেব করে না চললেই বর্তমানে বিপদে পড়তে হয়।

বাজার মনিটরিংয়ের কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণেই ইচ্ছেমতো দাম হাঁকচ্ছেন ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। সূত্রঃ সময় টিভি। সম্পাদনা ম/হ। রু ২২১০/০৫  


Related Articles